গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, এম.পি মহোদয় ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি জোনের কৃষি মন্ত্রণলয়াধীন বিভিন্ন দপ্তরের কমকর্তাগণের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। মতবিনিময় সভায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধরী এমপি মহোদয় বলেন, চট্টগ্রামের ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশে রয়েছে বৈচিত্র্যতা। এই বৈচিত্র্যতা অনুসারে কৃষি গবেষণা ও উৎপাদন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের প্রয়োজন হলো অল্প জমিতে বেশি ফলন। এ জন্য গবেষকদের স্বল্প সময়ে সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করার প্রতি তিনি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকায় শান্তিচুক্তির ফলে নির্মিত অবকাঠামোর কারনে পাহাড়ী কৃষিখামার হতে উৎপাদিত ফল বাজারজাতকরণ সম্ভব হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ে ফল উৎপাদন বৃদ্ধির যে ধারা সূচিত হয়েছে তা আরও বেগবান করার জন্য প্রয়োজনীয় কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে বিশেষ নজর দিতে হবে। বিশ্ববাজারে আতপ চাউলের চাহিদা থাকায় চট্টগ্রাম এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ীদের এ এলাকা হতে চাউল রপ্তানীতে উদ্যোগী হতে হবে। চট্টগ্রামের পটিয়ার স্থানীয় পেয়ারা জাত উন্নয়নে গবেষণা বৃদ্ধি করার বিষয়েও তিনি গুরুক্বারোপ করেন। মাননীয় কৃ্ষিমন্ত্রী রাবার ড্যাম পরিচালনাকারী সংগঠনকে আরো আন্তরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। নন ইউরিয়া সারের ব্যবহার বৃদ্ধি তথা সুষম সার ব্যবহারে সকলকে মনযোগী হওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ প্রদান করেন।
দুপুর ১.০০ টা হতে শুরু হওয়া এ মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম ও পাবর্ত্য চট্টগ্রামের আট জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, কৃষি তথ্য সার্ভিস, তুলা উন্নয়ন বোর্ডসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন এবং মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মহোদয়কে তাদের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
সংবাদ সংগ্রহ: আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার, চট্টগ্রাম।